শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ! টাকার বিনিময়ে বিদ্যুতের তার খাম্বা মিটার এনে দেন ইলেকট্রিশিয়ান জুলিয়ান!
বিজিএমইএ ভবন ভাঙার ব্যয় দুই কোটি টাকা

বিজিএমইএ ভবন ভাঙার ব্যয় দুই কোটি টাকা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজধানীর হাতিরঝিল লেকে অবৈধভাবে নির্মিত তৈরি পোশাক মালিক ও রফতানিকারক সমিতির প্রধান কার্যালয় বিজিএমইএ ভবন ভাঙতে দুই কোটি টাকা খরচ হতে পারে।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম জানিয়েছেন, ধ্বংসাবশেষ বিক্রির টাকায় খরচ মেটাতে না পারলে বিজিএমইএর কাছ থেকে টাকা আদায় করা হবে।
আদালতের রায়ে ভবন ধ্বংসের ব্যয় বিজিএমইএকে বহন করতে বলা হয়েছিল। তার উপর জোর দিচ্ছেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ১৫ তলার বিজিএমইএ ভবনটি সিলগালা করে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)।
বুধবার রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী ও হাতিরঝিল প্রকল্পের পরিচালক এ এস এম রায়হানুল ফেরদৌস বলেন, এই ভবন ভাঙতে কী পরিমাণ টাকা লাগতে পারে, তার একটা মোটামুটি অ্যাসেসমেন্ট করা হয়েছিল আগেই। দুই কোটি টাকার মতো লাগতে পারে। ভবনের মালামাল বিক্রি করে এই টাকাটা উঠে যাওয়ার কথা।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, আদালতের নির্দেশনায় রাজউক ভবন ভাঙার দায়িত্ব নিয়েছে। তবে যাবতীয় খরচ বিজিএমইএকেই দিতে হবে। আমরা আপাতত উদ্যোগ নিয়ে দক্ষ লোক দিয়ে ভবনটি ভাঙব। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে ভাঙার খরচসহ নানা বিষয় আমাদের প্রসেসের ভেতর থেকে অ্যাসেস করব। যদি দেখা যায়, আমাদের কোনো ঘাটতি থাকল, সেটা নিয়ে আমরা তাদের (বিজিএমইএ) নোটিস দেব।
এদিকে বিজিএমইএর বিদায়ী সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনো কথা হয়নি। সেটা নিয়ে সরকারের সঙ্গে আমরা বসব।
তিনি বলেন, কোর্টের নির্দেশনার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা সেখান থেকে কার্যালয় সরিয়ে নিয়েছি। কোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ীই সবকিছু হবে।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সিদ্দিকুর বলেন, এখন যেহেতু রাজউক ভবন ভাঙার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে, খরচের বিষয়টা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক হবে। যেহেতু আমরা ইপিবির কাছ থেকে জমিটা কিনে নিয়েছিলাম, খরচের আগে সেই বিষয়টিও আলোচনা হওয়া প্রয়োজন।
সিদ্দিকুর দাবি করছেন, এই জমি দেওয়ার পেছনে ‘ভুল’ ছিল সরকারি সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ওই জায়গা সিলেক্ট করে দিয়েছে ইপিবি। বিনিময়ে ইপিবিকে ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছিল। ভুল আমাদের ছিল না, ভুল করেছে ইপিবি।
ভবন ভাঙার ব্যয় বহনে বিজিএমইএর গড়িমসির বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, দেব না- এমন কথা তো বলতেই পারে। তারা তো বলেছিলেন, ভবন ছাড়বেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তো আদালতের রায় মানতেই হয়।
ইতোমধ্যে দুটি বেইজমেন্টসহ ১৫ তলা বিজিএমইএ ভবনটি ভাঙার পর ব্যবহারযোগ্য মালামাল কেনায় আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে দরপত্র আহ্বান করেছে রাজউক। আগ্রহীদের আগামী ২৪ এপ্রিল বিকাল ৪টার মধ্যে রাজউক চেয়ারম্যান বরাবর আবেদন করতে বলা হয়েছে।
সেই বিজ্ঞপ্তিতে তিন মাসের মধ্যে ভবন ভাঙার শর্ত দেওয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বহুতল ভবন ভাঙার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। তিন মাসের মধ্যে ভবন ভেঙে মালামাল অপসারণ করতে হবে। ভাঙার ব্যাপারে ক্রেতাকে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
দরপত্রের শর্তে বলা আছে, ভবন ভাঙার জন্য আলাদা কোনো অর্থ দেওয়া হবে না। যারা ভবন ভাঙবেন তারাই মালামাল কেনার দরপত্র দাখিল করতে পারবেন। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ মূল্য উল্লেখ করবেন, তাদের প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে।
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর দেওয়া রায়ে আদালত ভবন ভাঙার টাকা বিজিএমইএর কাছ থেকে আদায় করতে বলেছিল রাজউককে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com